ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের আলুতে চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি।


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন /
ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের আলুতে চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি।


মোঃ আঃ আজিজ জেলা প্রতিনিধি।
ফুলবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে এখন আলু তোলার ধুম পড়েছে। বাজারে নতুন আলুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি। খেত থেকেই পাইকাররা প্রতি কেজি জাতভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় আলু কিনে নিচ্ছেন তবে বাজারে নতুন আলু উঠলেও তেমন কোন প্রভাব পড়েনি । বাজারে এখনও পুরাতন আলু ৭০—৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। উপজেলার আগাম আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে বলে কৃষক ও পাইকারীদের সুত্রে জানা গেছে। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষির ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার কৃষকেরা আগাম জাতের আলু চাষ করছেন। বিশেষত আগাম আলু চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা দ্রুত নগদ অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান বলেই আগাম আলু চাষ করেন। উপজেলার চাষিরা আগাম জাতের আমনধান কাটার পরপরেই জমি প্রস্তুত করে আগাম আলুর আবাদ শুরু করেন। মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই আলু উত্তোলন করে বাজারজাত করা সম্ভব হয়। তারপর ঐ জমিতে ভুট্টা চাষ করেন কৃষকরা । সোমবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজরামপুর গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় ২ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। আশ্বিন মাসের ২৮ তারিখে এই আলু রোপন করেন। ঐ সময় প্রতি কেজি বীজ আলু ৬৭ টাকা কেজি দরে কিনে রোপন করেন। তার এই জমিতে রোপন,পরিচর্যাসহ মোট ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২—৩ দিন থেকে আলু তোলা শুরু করেছেন। তিনি ক্যারেজ জাতের আলু চাষ করেছেন। মাঠ থেকে তাঁর আলু পাইকাররা কিনছেন ৮৫টাকা কেজি হিসাবে। তিনি আশা করছেন তার এই জমি থেকে ২শত মন আলু পাবেন। বাজারদর এমন থাকলে ভালই দাম পাবেন। এ দিকে সোমবার ফুলবাড়ী পৌরবাজার ঘুরে দেখা যায়। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে। ৭০—৭৫ টাকা কেজি হিসাবে। আর নতুন আলু ৯০—১০০ টাকা কেজি হিসাবে। কয়েকজন ক্রেতা বলেন বাজারে নতুন আলু উঠলেও দামে কোন প্রভাব পড়েনি। আগে যেমন ছিল তেমনি আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর ফুলবাড়ী উপজেলায় ১৮২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আলু চাষের সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। গত সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলায় ১৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলায় আগাম চালু চাষীরা আলু চাষ করছেন এবং তুলতে শুরু করেছেন। বাজার দাম হিসাবে আগাম আলু চাষ করে কৃষক ভালো দাম পাচ্ছেন এবং লাভবান হচ্ছেন।