:: মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রূটে রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮ টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের সন্নিকটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ফেরির ১০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরির এক কর্মচারী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে নিখোঁজের সঠিক তথ্য এখনো সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো: খালেদ নেওয়াজ বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া, আরিচা কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি নোঙ্গর করে থাকা রজনীগন্ধা ফেরি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
এ দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান জানায়, ঘন কুয়াশার আচ্ছাদন প্রবল আকার ধারণ করায় রাত ২টার পর এই সেক্টরে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানায়, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি ৯টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরিটি মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এলে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার জানান, ফেরি দুর্ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :